ঢাকার হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে মো. ফাতেহ আলীর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই মামলায় আরও তিন আসামি আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদ, এম এ এস শরিফ ও মো. আরাফাত ইবনে মাসুদের ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল ৩টা ৪৭ মিনিটে চারজন আসামিকে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের এজলাসে হাজির করা হয়। কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে তাদের হাতকড়া পরিয়ে রাখা হয় রডের সঙ্গে বেঁধে।
এ সময় আদালতে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে সুব্রত বাইন বলেন, ২০২২ সালের রমজানে তাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে আনা হয় এবং আড়াই বছর ‘আয়নাঘরে’ আটকে রাখা হয়। হাত-পা বেঁধে রেখে পরে ৫ আগস্ট রাত ৩টার দিকে চোখ বেঁধে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন, “আমি যা বলছি, সেটাই যেন লেখেন। দয়া করে কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কিছু লিখবেন না। আমি ৮৯ সাল থেকে কেবল নেতিবাচক লেখাই দেখছি। বুঝে লিখুন, এর প্রভাব কী হতে পারে। আমার পরিবার আছে। বয়স ৬১ বছর।”
সুব্রত বাইন বলেন, “এই আধুনিক যুগে আমাকে চাঁদাবাজ বানানো হচ্ছে। যদি আসল চাঁদাবাজকে না ধরা যায়, তাহলে লাভ কী? কে আমার নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি করেছে, সেটা তদন্ত করুন। আপনারা নতুন প্রজন্মের সাংবাদিক, আপনাদের জন্য দোয়া করি।”
এরপর বিচারক এজলাসে প্রবেশ করলে সুব্রত তার বক্তব্য থামান। শুনানি শেষে বিচারক অস্ত্র মামলায় সুব্রত বাইনকে আট দিনের এবং অন্য তিনজনকে ছয় দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেন।